ঔষধ শিল্পে বাংলাদেশের উন্নতি আশাবাঞ্জক

ঔষধ শিল্প খাত বাংলাদেশের অন্যতম সফল এবং প্রযুক্তিগতভাবে অগ্রগামী একটি খাত। এই শিল্প দেশের এক র্গব। বর্তমানে দেশে প্রায় ৩০০ টি ঔষধ কোম্পানি আছে। মাত্র ৩ শতাংশ ঔষধ আমদানি করতে হয় আর বাকি ৯৭ শতাংশ দেশীয় কোম্পানি যোগান দেয়।
বাংলাদেশের নেতৃত্বস্থানীয় ঔষধ কোম্পানিগুলো হলো স্কয়ার র্ফামাসিটিউক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মা, ইনসেপ্টা ফার্মাসিটিউক্যালস, অপসোনিন ফার্মা এবং এসকেইফ্ বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ঔষধ কোম্পানিগুলো ৭৯ টি দেশে পণ্য রপ্তানি করে থাকে এবং এই সংখ্যা নিকট ভবিষ্যতে আরো বাড়বে বলে আশা করা যায়। রপ্তানি পণ্যর মধ্যে ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, HFA ইনহেলার, নাসাল স্প্রে, আই ভি ইনফিউসন উল্লেখযোগ্য।
দেশের ঔষধ শিল্পের প্রকৃত উন্নয়ন শুরু হয় ১৯৮২ সালে ঔষধ নিয়ন্ত্রন অ্যাধাদেশ জারি হবার পর। অসমঞ্জস্য ঔষধের উপর বিধিনিষেধ দেশীয় কোম্পানিকে নিজস্ব পণ্য উৎপাদনে উৎসাহিত করেছিল এবং এই অ্যাধাদেশ স্থানীয় কোম্পানির উন্নয়ন ত্বরানিত করেছিল।
পেশাজীবিদের দৃঢ় মনোভাব, জ্ঞান এবং নতুন আধুনিক চিন্তা এই শিল্পের উন্নয়নের পেছনে কাজ করেছে।১৯৯০ সালের পর কিছু কোম্পানি ইনসুলিন, হরমোন এবং ক্যান্সার প্রতিরোধক ঔষধ উৎপাদন শুরু করে যা পূর্বে দেশে কখনও তৈরী হয়নি। এই খাত দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। দেশীয় ঔষধ কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসা বর্তমান বাজার ছাড়িয়ে আরো প্রসারিত করে চলেছে। অনেক ছোট কোম্পানি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের পথে।
বাংলাদেশের নেতৃত্বস্থানীয় ঔষধ কোম্পানিগুলো হলো স্কয়ার র্ফামাসিটিউক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মা, ইনসেপ্টা ফার্মাসিটিউক্যালস, অপসোনিন ফার্মা এবং এসকেইফ্ বাংলাদেশ। বাজারে যৌথভাবে স্কয়ার ও বেক্সিমকোর শেয়ার ২০ শতাংশ। এই কোম্পানিগুলো মূলত্, ডাইবেটিকস্, অ্যাজমা, ক্যান্সার প্রতিরোধীসহ আরো অন্যান্য রোগের ঔষধ উৎপাদন করে থাকে।
যদিও দেশের ঔষধ শিল্পখাত সূদৃড় হারে অগ্রগতি হচেছ তবুও তাদের এই গতি ধরে রাখতে প্রানপন চেষ্টা করে যেতে হবে। আনর্ত্মজাতিক বাজারে আরো গ্রহণযোগ্যতা পেতে তাদের অবশ্যই র্কপোরেট সংস্কৃত, পণ্যমাণ এবং ঔষধনীতিতে অব্যহত পরির্বতন ধরে রাখতে হবে।