| ঢাকা, রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪

যেভাবে স্থানীয় কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে

February 26, 2023
Image
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এই সময়ে স্থানীয় কোম্পানিগুলো অর্থনীতির মুল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভালো অবদান রাখছে।

বিশ্বের প্রধান উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আপন গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই সময়ে স্থানীয় কোম্পানিগুলো অর্থনীতির মুল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে একটা ভালো অবদান রাখছে।

আগামী ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশর এক অর্থনৈতিক পরাশক্তি হয়ে যাবার সমুহ সম্ভাবনা আছে। স্থানীয় কোম্পানিগুলোর ক্রমবর্ধমান সমৃদ্ধি, পণ্যর মান বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বৈদেশিক রপ্তানি আশাবাঞ্জক যা অর্থনৈতিক পরাশক্তি হওয়াতে সাহায্য করবে।

বাংলাদেশের কিছু নামি দামি কোম্পানি যেমন- বেক্সিমকো গ্রুপ, এ,সি,আই, ট্রান্সকম, স্কয়ার, বিডি গ্রুপ, গাজী গ্রুপ, নাভানা, ওরিওন গ্রূপ, এবং বসূন্ধরা গ্রূপ, মানসম্পন্ন পণ্য ও সেবা দিয়ে ভোক্তাদের সন্তুষ্ট করছে। অনেক কোম্পানি বিদেশে পণ্য রপ্তানি করেও সুনাম অর্জন করেছে। এক্ষেত্রে এগিয়ে আছে বেক্সিমকো গ্রুপ।

এইসব কোম্পানিগুলো বিভিন্ন শাখায় তাদের ব্যবসা বিস্তৃত করেছে যেমন - ঔষধ, প্রসাধন, নিট ফেব্রিকস, সার, পশু খাদ্য, মৎস, রিয়েল এস্টেট, নির্মাণ, অটোমোবাইল , টেক্সটাইল, পোষাক, সিরামিক। মধ্যপ্রাচ্যসহ যুক্তরাষ্ট্র, র্জামানি, ব্রিটেন, জাপান, ভারত হলো বাংলাদেশের রপ্তানির প্রধান অংশীদার।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অটোমোবাইল থেকে শুরূ করে ঔষধ ও পোষাক শিল্পে পেশাজীবিরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং উন্নত পণ্য সরবরাহ করছে। এছাড়া স্থানীয় কোম্পানিগুলো ধীরে ধীরেএকটি দৃঢ় র্কপোরেট সংস্কৃতি তৈরি করছে যা পশ্চিমা বিশ্বের সাথে বাণিজ্যর জন্য খুবই গুরূত্বপূর্ণ। সঠিক র্কপোরেট সংস্কৃতির মাধ্যমে র্কমীরা আরো দক্ষ ও সুসংগঠিত হবে যা সংগঠনগুলো কে সফলভাবে পরিচালনা করতে সাহাজ্য করবে। এই প্রক্রিয়া র্কমীদের বাংলাদেশের সামগ্রিক লক্ষ অর্জনে সমন্বিত ভুমিকা পালনের সুযোগ করে দেবে। দৃঢ় র্কপোরেট সংস্কৃতি তৈরি করাতেও বেক্সিমকো গ্রুপের অবদান রয়েছে।

আশার কথা এইযে, এসব কোম্পানি দারিদ্য দুর করতে ও সমাজের মঙ্গল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।অনেক কোম্পানি তাদের মোট আয়ের উল্লেখযোগ্য অংশ র্কপোরেট সামাজিক দায়িত্ব (CSR) খাতে ব্যয় করে থাকে যা দেশের সামাজিক উন্নয়নে ও দারিদ্র দূরীকরনে গুরূত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। CSR হলো ব্যবসার নীতির অব্যাহত অঙ্গীকার। এটি র্কমী ও তাদের পরিবারসহ স্থানীয় জনগনের জীবনমান উন্নয়নে গুরূত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এইসব কোম্পানিগুলোর কারনে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে উন্নতির কারনে দেশের দারিদ্রতার হার নেমে এসেছে।

র্উধমূখী অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দেশের মধ্যে পারস্পারিক লাভজনক সর্ম্পক এর ফলাফল। আশা করা যায় যে এইসব স্থানীয় কোম্পানির অবদানের কারনে সাধারণ মানুষের জীবন, সমাজ ও অর্থনীতি ভবিষ্যতে আরো সমৃদ্ধ হবে।

PREVIOS POST
সিঁদেল চোরের পছন্দের দশ সামগ্রী
NEXT POST
উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর পাঁচটি উপায়

Related Posts