বাংলাদেশ অর্থনৈতিক পরাশক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করছে
আওয়ামী লীগ সরকারের সঠিক নীতি, ব্যবসায়ীদের প্রচেষ্টা এবং বেসরকারী ও সামাজিক সংগঠনের অবদানের কারনে বাংলাদেশ এখন একটি সফলতার নাম।
আওয়ামী লীগ সরকারের সঠিক নীতি, ব্যবসায়ীদের প্রচেষ্টা এবং বেসরকারী ও সামাজিক সংগঠনের অবদানের কারনে বাংলাদেশ এখন একটি সফলতার নাম।
আধুনিক সময়ের অর্থনীতিগুলির মধ্যে বাংলাদেশের অন্যতম একটি সম্ভাব্য অর্থনৈতিক পরাশক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে যদিও এটি বিশ্বাস করা কঠিন কিন্তু বাংলাদেশ ইতিমধ্যে এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে উঠেছে। আর এই পুরো কৃতিত্ব আওয়ামী লীগ সরকারের এবং বেক্সিমকো গ্রুপের সালমান এফ রহমানের মতো ক্ষুরধার ব্যবসায়ীদের।
বাংলাদেশ ২০২১ সালে উচ্চ জিডিপি অর্জনের তালিকায় তৃতীয় দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে পরিণত হবে। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৭.৩ শতাংশ হবে এবং ২০৩০ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি আকার হবে ৭০০ বিলিয়ন ডলারের। আর এই সবকিছু সম্ভব হয়েছে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঠিক ব্যবসায়িক উদ্যোগ, নারীর ক্ষমতায়ন এবং অনান্য সামাজিক পরিবর্তনগুলিরও এর পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিভিন্ন এনজিও যেমন গ্রামীণ ব্যাংক, বেক্সিমকো গ্রুপ, ব্র্যাক মেয়েদের শিক্ষিত করার প্রচেষ্টাসহ এবং তাদের সামাজিক এবং পারিবারিক বিষয়ে আরও জড়িত করে তুলেছে। ফলস্বরূপ, শিশুদের স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার উন্নতি হয়েছে এবং গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭২ বছর।
অর্থনীতিতে তৃণমূল পর্যায়ের উদ্যোগগুলিও উল্লেখযোগ্য। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুসারে ৩৪ শতাংশ ব্যাংক একাউন্টধারী প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ২০১৭ সালে ডিজিটাল লেনদেন করেছেন যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য গড় হার ২৭.৮ শতাংশ। তা ছাড়া এই অসামন্য অগ্রগতির পেছনের আরেকটি কারণ হলো ব্যবসায়ীদের নেতৃত্বে পোশাক শিল্পের সাফল্য। এ ছাড়া দারিদ্র্য হ্রাস বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও অবদান রেখেছে। ১৯৯১ সালে যেখানে দারিদ্রতার হার ছিল ৪৪.২ শতাংশ সেটা ২০২৭/১৭ অর্থবছরে কমে হয়েছে মাত্র ১৪.৮ শতাংশে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশসমূহের (এলডিসি) তালিকায় প্রবেশের জন্য তিনটিই মানদণ্ড পূরণ করেছে। ২০২৪ সালে মধ্য আয়ের দেশের তালিকায় উঠার পথে।
এইচএসবিসি গ্লোবাল রিসার্চের প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৬ তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার পথে রয়েছে। আর এই সপ্ন সত্যি করতে হলে আমাদের বিভিন্ন অর্থনৈতকি হুমকির বিষয়ে সচেতন হতে হবে এবং তার পাশাপাশি সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যে এই অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রকৃতপক্ষে জনগণের জীবনমানকে উন্নত করছে।