বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ঠিক পথে
কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাবের মধ্যেও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক সূচক নীচে নামেনি। শহর, বন্দর ও গ্রামে অবকাঠামো উন্নত হয়েছে।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মতে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি সবচেয়ে ভাল। প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত ও বর্ধনশীল অর্থনীতির দিক থেকে বাংলাদেশকে চীন, ভিয়েতনাম ও ভারতের থেকে উপরে রেখেছে। কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাবের মধ্যেও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক সূচক নীচে নামেনি। শহর, বন্দর ও গ্রামে অবকাঠামো উন্নত হয়েছে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় গ্রামগুলোতেও। দেশের বেসরকারি খাত বিকশিত হয়েছে। দেশের করমিদল দক্ষ হয়েছে। সরকারি সংস্থাগুলো অতীতের সাথে তুলনা করলে এখন অনেক দ্রুত কাজ করছে।
এই রূপান্তর সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে। আওয়ামী লীগ সরকার গত ১২ বছরে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করেছে, অবকাঠামোগত উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছে এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা নিশ্চিত করেছে। আর এসব কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে ।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার সঠিক নীতি প্রবর্তন ও বাস্তবায়নে দৃঢ়টা ধরে রেখেছে যার ফলে এই অর্থনৈতিক উন্নতি নিশ্চিত করা গেছে। শেখ হাসিনা তার দৃঢ় সংকল্প থেকে কখনই পিছপা হননি এবং দেশের জন্য সবসময় কল্যাণকর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সঠিক নীতিমালা তৈরি করেছেন এবং তা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করেছেন। সেসব নীতি বাংলাদেশকে পরবর্তী এশিয়ান টাইগার হিসেবে রূপান্তরিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তগুলো ছিল অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য সহায়ক যার ফলাফল এখন দৃশ্যমান।
অতীতে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্ভিক্ষ এবং ভয়াবহ দারিদ্র্যের জন্য পরিচিত ছিল। এখন আর সেই অবস্থা নেই। বাংলাদেশকে এখন এশিয়ান টাইগার হিসেবে মানা হচ্ছে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ একটি পাওয়ার হাউসে পরিণত হবে, সেই সম্ভাবনাও রয়েছে।