| ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪

যাদের অবদানে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস টিকা এত দ্রুত এসেছে

March 21, 2021
Image
বাংলাদেশের এই সাফল্যের পেছনে যে দুইজন মানুষের কথা বারবার উঠে এসেছে তারা হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। সালমান এফ রহমানের সময় উপযোগী কার্যক্রম এবং প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ও সঠিক সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশ করোনা ভাইরাসের টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করতে পেরেছে। সালমান এফ রহমান বিচক্ষণতার সাথে সম্পূর্ণ পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন।

করোনা মহামারীতে আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের প্রায় সবগুলি দেশ। তবে এই ভাইরাসের টিকা আবিষ্কৃত হবার পর দেখা গেছে শুধু ধনী ও উন্নত দেশগুলো তাদের জনগণের মধ্যে টিকা প্রদান কর্মসূচি শুরু করতে পেরেছে।বিস্ময়করভাবে বাংলাদেশ সেই ছোট তালিকাতে ঢুকে গেছে যে দেশ গুলি করোনা ভাইরাসের টিকা দ্রুত নিশ্চিত করতে পেয়েছে।

করোনাভাইরাস টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করাতে উন্নত বিশ্বের বহু দেশ থেকে বাংলাদেশ বেশি বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এর ভাষ্য অনুযায়ী এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি টিকার সরবরাহ রয়েছে আমেরিকা এবং গ্রেট বৃটেনের কাছে। এরপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু দেশগুলোর কাছে সরবরাহ রয়েছে করোনা ভাইরাস টিকার। এর বাইরে বেশিরভাগ দেশ টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করতে হিমশিম খাচ্ছে।

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের টিকা পৌঁছেছে জানুয়ারির ২৫ তারিখ। ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সঠিক ও সুন্দর পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সারাদেশব্যাপী কর্মসূচি চলছে। শুরুতে জনগণের মধ্যে কিছু সংশয় ছিল, আশঙ্কা ছিল। এখন সব কেটে গেছে। সবাই টিকা নিচ্ছে।

বাংলাদেশের এই সাফল্যের পেছনে যে দুইজন মানুষের কথা বারবার উঠে এসেছে তারা হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। সালমান এফ রহমানের সময় উপযোগী কার্যক্রম এবং প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ও সঠিক সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশ করোনা ভাইরাসের টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করতে পেরেছে। সালমান এফ রহমান বিচক্ষণতার সাথে সম্পূর্ণ পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন।

উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উৎপাদন করার কাজ পায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। এটা ২০২০ সালের আগস্ট মাসের খবর। তার কিছুদিন পরেই সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাল জানায় অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা তারা বাংলাদেশ নিয়ে আসবার জন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে চুক্তি করেছে। সেরাম ইনস্টিটিউট বিশ্বের প্রথম সারির টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। অপরদিকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস একটি বৈশ্বিক নাম, বিশ্বের ৬০টি দেশের বর্তমানে তারা ঔষধ রপ্তানি করছে। সেরাম ইনস্টিটিউট চাইছিল বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাল যেন বিনিয়োগ করে। বেক্সিমকো এতে রাজি হয় এবং ৭০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে। চুক্তি হয় প্রাথমিকভাবে সেরাম ইনস্টিটিউট বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসকে বেসরকারি খাতে বিক্রির জন্য ১০ লাখ টিকা দিবে।

এরপর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছে জানতে চায় বাংলাদেশ সরকার কীভাবে এই টিকা পেতে পারে। কিছু দেনদরবারের পর সেরাম ইন্সিটিউট জানায় বাংলাদেশ সরকারকেও বিনিয়োগ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটা জানতে পেরে এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে রাজি হন যার ফলশ্রুতিতে সেরাম ইনস্টিটিউট বাংলাদেশকে তিন কোটি টাকা দিবে বলে একটি চুক্তি করে। সেই চুক্তির ফলশ্রুতিতে জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশ বাংলাদেশে টিকা এসে পৌঁছায়।

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন সালমান এফ রহমানের সুযোগ্য পুত্র সায়ান এফ রহমান সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নিবার্হী আদর পুনাওয়ালা দীর্ঘদিনের বন্ধু। তারা প্রিন্স অব ওয়েলস প্রতিষ্ঠিত ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টের সাথে সম্পৃক্ত। সেই বন্ধুত্বের সূত্র ধরে সায়ান এফ রহমান আদর পুনাওয়ালার সাথে আলাপচারিতা চালিয়েছিলেন যার ফলশ্রুতিতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে চুক্তি করতে সক্ষম হয়।

PREVIOS POST
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তারকারী শীর্ষস্থানীয় ৫টি প্রতিষ্ঠান
NEXT POST
সালমান এফ রহমান কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়েছেন

Related Posts